হাফ ম্যারাথন শেষে Camp Inani তে solid
pineapple juice, ভর পেট খিচুড়ি। দুপুরে আবার ভরপেট হবে তো, এবার ট্রেকিং করলে মধ্যাহ্ন
ভোজের প্রস্তুতিটা সম্পন্ন হবে।
একটা খাড়ি ধরে যাত্রা শুরু। পথে বন্যা হাতিদের
অবাধ চলাফেরা, Chief Security Officer
"bagh bai" অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছে। পথে এক দুজন
লোকাল জেলে অথবা এদিক ওদিক কোন শব্দ পেলে ক্ষিপ্র গতিতে তৎপর। ক্যাম্পের রাসেল গাইড,
স্থানীয়। খাড়িতে পানি নেমে আসছে, পায়ের নিচে খড়খড়ে বালি, সূর্য মাথার উপর। দৌড়
শেষে পা ভিজিয়ে বালির উপর হাঁটা, মনে হচ্ছিল, natural spa, আরাম আর আরাম। এই পথে
trekking করার জন্যে খালি পা আদর্শ।
দুপাশের সবুজ পাহাড়ে পাখিদের হইচই, দুপাশে অসাধারণ
প্রাকৃতিক স্থাপত্য(!), টিলার গা ঘেঁষে বেড়ে ওঠা ঘাস আর কচুর গাছগুলো কে কেয়ারি করেন?
আশেপাশের হাতির বিষ্ঠা, বোঝা যায় বন্য হাতীরা
এখানে পানি পান করতে আসে। Bagh bai চলার পথে নির্বিঘ্ন করতে মাঝে মাঝেই এদিক-ওদিক ছুটে
গিয়ে নিশ্চিত হচ্ছিল, আমরা নিরাপদ।
দু ঘন্টার এই ট্রেকিং টা খুব বেশি ফিটনেস
expect করেনা, অনেকে ই try করতেই পারেন!
আগামীকাল সকালে একটা বড় ট্রেইল ধরে আমরা এগোবো।
Rohingya Influx এর পর পেশাগত কারণে মাঝে মাঝেই
উখিয়াতে আসতে হয়েছে। প্রতিবার ই সদর দরজা দিয়ে, এবার খিরকি।গতকালকের খাড়িটা পার
হয়ে trekking শুরু হলো। মেঘলা আবহাওয়া, একটা সময়, বড় বড় বৃষ্টির ফোঁটা আর বাজ্।
বাজের ভয়ে যেখানে গিয়ে থামলাম, টিলার উপরে, একটা
হেলিপ্যাডের মতোন। তিন ঘরের পাড়া, যতদূর চোখ
যায়, সবুজ টিলা। ততক্ষণে প্রকৃতি বিনম্র, অনেকগুলো ছাগল চড়ে বেড়াচ্ছে, পাহারাদার,
কয়েকটা দেশী কুকুর। প্রথমেই Bagh bai এর সঙ্গে ওদের লেগে গেল! ধীরেসস্থে মিটলোও সদ্ভাব
হলো না।
বনবিভাগের মিশ্র বনায়ন, দেখে মুগ্ধ হলাম। এর পর
কয়েকজন গ্রামবাসীর সঙ্গে দেখা, চলতে চলতে unstructured কথাবার্তা। ওদের মধ্যে শিবচরন
দে, সচ্ছল গেরস্থ। শিবচরন বাবুর অনেক ধরনের
ফলের আবাদ, কিছু কিছু ফল জামাইষষ্ঠীর জন্য রেখে দেবেন। Nitto ম্যানেজ করলো। রিজার্ভ
ফরেস্ট পেরিয়ে, ওঁর বাড়িতে গাছ পাকা আম খেলাম, তারপর পান সুপারি। গাছে উঠে, ঝাঁকি
দিয়ে আম পাড়তে দেখলাম, অনেকদিন বাদে। আরেক গেরস্থ হাকিম সাহেব, তাঁর বাড়িতে কাঁঠাল
খাওয়ার জন্য দাওয়াত দিয়ে রাখলেন, যদিও কাঁঠাল পাকতে দেরি আছে। গোঁফে তেল দিতে তো
দোষ নেই!
৯ কিলোমিটার পেরিয়ে যেখানে পৌছালাম, জায়গার নাম
হরিণ মারা, খুব পরিচিত ঠেকলো। চার বছর আগে রাজাপালং এর এই গ্রামে একটা স্টাডি করতে
এসেছিলাম। প্রাতিষ্ঠানিক কাজ এর বাইরে, বনে বাদাড়ে ছুটে চলা co curriculum
activities এর মতন।
সড়কপথে গাড়ি থামিয়ে, বিভিন্ন জনের সাথে কথা
বলা, আর বিপরীত দিক থেকে পূর্ব প্রস্তুতি অথবা প্রত্যাশা ছাড়াই জীবন, জীবিকা,
ecosystem দেখা, একটা অন্য অভিজ্ঞতা।
A লেভেল পরীক্ষার পরে পানসি নর্থ এন্ডে নিয়মিত
চাকরি করছিল। উখিয়াতে নর্থ এন্ডের ব্রাঞ্চ আছে, ও খুব উত্তেজিত। একদিনে ৯ কিলোমিটার
trekking! যথেষ্ঠ হয়েছে। এরপর পাকা রাস্তায় একটা easy bike নিয়ে আমেরিকানো, হয়ে
গেল!
ফেরার পথে সুবোধ বালকের মতো Bagh bai মুখ গুঁজে
আমাদের সাথে ক্যাম্পে ফিরে এলো।
দুইদিন নির্ভার ক্যাম্প জীবন, অনেকদিন মনে থাকবে।
#campinani
এর ব্যবস্থাপনা, আন্তরিকতা আর ambience এতটাই ইকো ফ্রেন্ডলি, নিত্য আর আমি ওখানে
বসেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম, ছোট ছোট গ্রুপে এখানে আসতে হবে, মেরিন ড্রাইভে দৌড়,
সমুদ্রে ঝাঁপানো, আর সবুজ প্রকৃতির মধ্যে নির্ভার trekking.
Ehsanul ভাইজান আপনি বলার পর, আজ দু' দফায় তেঁতুলের
শরবত হয়েছে Camp Inani তে। গতকাল মিস করেছিলাম, আমরা pineapple juice চাওয়াতে, জালাল
সাহেব ভেবেছিলেন,
-তেঁতুলের শরবত আমাদের নাও চলতে পারে।
ভাগ্যিস আপনি মনে করিয়েছিলেন! নতুবা একটা ইস্
থেকে যেত!
গতকাল আমাকে আর নিত্য কে জোঁকে ধরলেও, আজকে তেমনটা
ঘটেনি।