শুরুতেই বলেছি এটা আপনার পরিবারকে বা ছোট দল কে একটা কোয়ালিটি কিন্তু রোমাঞ্চকর টাইম দেবে।ধরুন আপনি দু দিনের জন্য এলেন। তো কি করা যায় ?
১। এলাকাটা মুলত একপাল হাতির বিচরন ক্ষেত্র। ৯-১২ টি বিভিন্ন বয়সী হাতি খাবারের খোঁজে বান্দরবন-আলিকদম-রামু হয়ে এই এলাকায় আসে। এমন একটা জায়গায় রাত্রিযাপন কিছুটা ভয়ের। কিন্তু অবাক ব্যপার হলো অনেক মানুষ আসে এই “ভয়” এর খোঁজে। তবে নিশ্চিত থাকুন। Kornel’s Cabin ঘিরে আছে অনেক গুলো স্থানীয়দের বসতবাড়ি এবং নিকট অতীতে হাতির পাল ইনানী খাল ক্রস ক’রে ত্রিসীমানায় পা দেয় নাই। আর আর্লি ওয়ার্নিং হিসাবে “বাগবাই” তো আছেই।
২। যেদিন এলেন সেদিন ক্যাম্প সেট আপ আর ওরিয়েন্টেশন। তারপর দুপুরের আগেই চলে গেলেন ইনানী বীচে। ঘন্টা দু তিনেক কাটিয়ে ক্যাম্পে ফিরেই আপনার জন্য থাকবে আপনার দেয়া মেনু অনুযায়ী ফ্রেশ লাঞ্চ। তারপর “সিয়েস্তা”। ছোট্ট একটা ঘুম।
৩। বিকালে চলে গেলেন ফান-ফেস্ট প্যারা সেইলিং করতে। আপনার পরিবারের দস্যি ছেলে বা মেয়ে তা খুব পছন্দ করবে। সন্ধ্যার পরই ক্যাম্পে ব্যাক। গান শুনুন বা মুভি দেখুন।
৪। অথবা বিকালে বের হোন মাউন্ট সাগুনী সংলগ্ন “সেরেংগেটি ট্রেইল” এ। চড়াই উৎরাই বেয়ে ওঠানামা করতে আপনার যথেষ্ঠ ফিজিক্যাল ফিটনেস থাকতে হবে। পারবেন না পারবেন না বললেও ঠিকই শেষ করবেন। ২ ঘন্টার এই ট্রেইলের শেষ পর্ব টা আপনার ভালো লাগবে। নামিরা রানা কিন্তু তাই বলেছে।
৫। ২য় দিন শুরুতেই ভরপেট খিচুড়ী খেয়ে তৈরী হয়ে নিন । প্রায় তিন ঘন্টার “পাতাগোনিয়া ট্রেইল” ট্র্যাকিং করার জন্য। চড়াই উৎরাই শেষে হাটু পানিরে স্বচ্ছ ইনানী খাল আপনাকে দারুন প্রশান্তি দেবে। সেই সাথে হাতির পালের ভয় আপনাকে সর্বক্ষন তাড়িয়ে বেড়াবে।
৬। ফিরে এসে দুপুরের লাঞ্চ করলেন। “সু-শি-শা” শেষে বিকালে গেলেন মেরিন ড্রাইভ দিয়ে দক্ষিনে পাটুয়ারটেক বা তারপরের কোন দিকে যেতে পারেন।
৭। আসার পথে রয়েল টিউলিপ বা পছন্দের কোন রেস্তোরা থেকে চা নাস্তা খেয়ে আসলেন। অথবা ডিনার টা সারলেন পছন্দের কোন নিরিবিলি রেস্তোরায়। পরিবার নিয়ে ক্যাম্পেই বার বি কিউ করতে চাইলে তারও সুব্যবস্থা আছে।
৮। পরদিন ভোরটা কাটালেন “আমাজন ট্রেইল” দিয়ে খালি পায়ে হেটে। সকালে ক্যাম্পেই নাস্তা করলেন। তারপর বাঁধাছাঁদা করে বিদায়ের পালা।